সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ১০:২০ পিএম
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন পেছানোর জন্য জামায়াত ও এনসিপি পরিকল্পিতভাবে নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করছে। তিনি মনে করেন, এই দলগুলো বিচার, সংবিধান পরিবর্তন ও সংস্কারের নামে বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি তুলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) 'কালের কণ্ঠের' 'কালের সংলাপ' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত অভিযোগ করেছেন যে, লন্ডনে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিরপেক্ষ আচরণ করছেন না। এই প্রসঙ্গে জাহেদ উর রহমান বলেন, যদি জামায়াত ও অন্যান্য দলের মনে হয় ড. ইউনূস নিরপেক্ষ নন, তাহলে তাদের উচিত এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করা। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু লন্ডনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, তাই তাদের পদত্যাগ চাওয়া উচিত।
জাহেদ উর রহমান প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন যে, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই এবং এর বিকল্প ভাবলে তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে। তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনের মতো কিছু দল প্রকাশ্যে নির্বাচন চাইলেও তাদের দাবির তালিকা বিশাল। তারা এমন সব অবাস্তব দাবি করছে, যেমন—সংস্কার করা, বিচার নিশ্চিত করা এবং তার জন্য রোডম্যাপ দেওয়া, নতুন সংবিধান তৈরি করা ও জুলাই সনদ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা। এসবের মাধ্যমে আসলে নির্বাচনকে নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে প্রত্যেক দল তাদের ইস্যু তুলে ধরেছে, এমনকি জামায়াত ও এনসিপি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছে। এসব নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে প্রধান উপদেষ্টা সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছেন যে, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশ অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে চলে যাবে এবং আমাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব হানাহানিতে পরিণত হবে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই সুযোগ নেবে।
জাহেদ উর রহমান বলেন, যদি কোনো দল নিশ্চিত না থাকে যে সরকার নিরপেক্ষ থাকবে না, তবে তাদের নির্বাচনে না যাওয়ার যুক্তি আছে। তবে এই ক্রান্তিকালে জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন যদি নির্বাচনে না যায়, তাহলে দেশ নৈরাজ্যের মুখে পড়বে এবং সেই দায় তাদেরই নিতে হবে।