কাঠমাণ্ডুতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিবেদন পেশ, শেখ হাসিনার বিচার দাবি

নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে ৪৬টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নাজমুল হাসান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।

নাজমুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৬ বছরের শাসনামল ছিল অবাধ দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি, যেখানে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “নির্বাচনের নামে প্রহসন চালিয়ে একটি পরিবারতান্ত্রিক স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।”

জামায়াত আমিরকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ফজলুর রহমান

বিস্তারিত পড়ুন

তিনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’র ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এ আন্দোলনে ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানায়। তিনি শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও জিহাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, এই তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনের ভিত্তি। তাদের বীরত্বগাথা কোনোদিন মুছে ফেলা যাবে না।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাজমুল হাসান বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করেন।

সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৬টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা তাদের নিজ নিজ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শ্রম অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।