জুলাই ২৪, ২০২৫, ১১:১১ এএম
ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন নিয়ে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।ভেন্যু পরিবর্তন না করলে বিসিসিআই সভা বয়কটের হুমকি দিয়েছিল, এবং শোনা যাচ্ছিল যে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও তাদের সমর্থন দেবে। তবে নাটকীয় মোড় পরিবর্তন করে একদিন আগেই জানা গেল, ভারতও সভায় যোগ দিচ্ছে, যা ক্রিকেট কূটনীতিতে বাংলাদেশের একটি সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এসিসির এজিএমে যোগ দিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) প্রতিনিধি। এছাড়া ভারতের মতো শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা অনলাইনে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।{{
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশে এসিসির মিটিং আয়োজন করছি। আয়োজকের দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে রাজি করাতে পেরেছি, ক্রিকেটের স্বার্থেই সবাই যোগ দিচ্ছে। যারা আসতে পারছে না তারা অনলাইনে যোগ দেবে। পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে আফগানিস্তান আজ (গতকাল) রাতে আসবে, শ্রীলঙ্কা এবং ভারত বলেছে অনলাইনে যোগ দেবে।" এটি নিশ্চিত করে যে, সভা সফলভাবে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এবং এতে সকল গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকছেন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে চলমান বিতর্কের মাঝে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্পষ্ট করে বলেন, "ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। এখনও ভালো আছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "আপনারা জানেন যে সিরিজটি আমরা স্থগিত করেছি। দুই বোর্ড বসে সবচেয়ে ফাঁকা যে সময়টা থাকে সেটাই আমরা নিশ্চিত করেছি।
বুলবুল আরও জানান, গতকাল এবং আজ বিসিসিআইয়ের সঙ্গে তার ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "যেহেতু আমাদের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল, সেটাই আমরা বিদ্যমান রাখব।" তার এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, ভেন্যু নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু মতবিরোধ থাকলেও, দুই বোর্ডের মধ্যে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে বোঝাপড়া অটুট রয়েছে।
এসিসির ২৪-২৫ জুলাইয়ের এই সভায় আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিয়ে এতদিন ধরে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল। ছয় দলের এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত, কিন্তু সেখানে খেলতে যেতে রাজি নয় পাকিস্তান। এই সমস্যার কারণে এসিসি এখনও এশিয়া কাপের সূচি কিংবা ভেন্যুর ঘোষণা দিতে পারেনি। এই সভায় এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ এবং পাকিস্তানের অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি কার্যকর সমাধান আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি শুধু দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্যই নয়, বরং আঞ্চলিক ক্রিকেটের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে।