আগস্ট ৮, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কিছু সাফল্য অর্জন করলেও, দেশের অভ্যন্তরীণ ক্রিকেটে তাদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ক্রিকেটারদের কল্যাণে গঠিত সংগঠন 'ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)' এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ক্ষোভ আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। নারী ক্রিকেটাররা তাদের সুযোগ-সুবিধা এবং প্রাপ্য সম্মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন।
দেশের নারী ক্রিকেটারদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সম্প্রতি ক্রিকেটারদের কল্যাণে গঠিত সংগঠন কোয়াবের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর এই বিতর্ক সামনে আসে।
রুমানা আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "বৈষম্য বৈষম্য আর বৈষম্য।" তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো যখন তাদের নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, পুরুষ ক্রিকেটারদের নিয়ে যখন কোয়াব নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়, তখন সেখানে কোনো নারী ক্রিকেটারের উপস্থিতি দেখা যায় না কেন? রুমানা আরও অভিযোগ করেন, পুরুষদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ (BPL) নিয়ে আলোচনা হলেও নারীদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে বারবার আলোচনা থেমে যায়।
জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বিস্তারিত কিছু না লিখলেও একটি ছোট পোস্টে তার মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, "ক্রিকেটার আর নারী ক্রিকেটারের ভেতর পার্থক্য আছে বন্ধু।" তার এই পোস্ট নারী ক্রিকেটারদের প্রতি বৈষম্যের ইঙ্গিত বহন করে।
এ বিষয়ে কোয়াবের আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ বলেন, "সবাইকে কমন ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছে, যে আসার সে এসেছে। যে আসেনি, সে আসেনি।" তিনি জানান, নারী ক্রিকেটারদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল কি না, তা হাবিবুল বাশার সুমন ভালো বলতে পারবেন, যিনি আগে নারী ক্রিকেটের দায়িত্বে ছিলেন। হাবিবুল বাশার সুমন অবশ্য বলেছেন, কোয়াবে মেয়েদের জন্য একটি পদ থাকবে এবং তারা ভোট দিতে পারবে।
এই ঘটনায় দেশের ক্রীড়ামহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, নারী ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা ও সম্মান নিশ্চিত করা এখন জরুরি।