সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে আজ বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য জারি করা এই সতর্কতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি কেবল নৌ চলাচলের জন্যই নয়, বরং সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষের জন্যও একটি সতর্কবার্তা। বিশেষ করে বর্ষার এই সময়ে আকস্মিক ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের ঘটনা বেড়ে যায়, যা জীবন ও সম্পদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আবহাওয়ার এই পূর্বাভাসটি সময়োপযোগী এবং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা সম্ভব হচ্ছে। এই ঝড়বৃষ্টির ফলে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই ধরনের আবহাওয়া পরিবর্তন মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঘটে থাকে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং ঋতুভিত্তিক পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে এমন আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার আচরণে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে, যেমন তীব্র বজ্রপাত ও আকস্মিক ঝড়ের প্রবণতা বৃদ্ধি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসেও এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও আবার মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা নদীবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন বা নৌপথে যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এই সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকেও যেকোনো সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে। সার্বিকভাবে, আবহাওয়ার এই পূর্বাভাসটি দেশের একটি বৃহৎ অংশের মানুষের জন্য সরাসরি প্রাসঙ্গিক, এবং এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।