সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার সময় পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব। তবে নুরাল পাগলের লাশ পোড়ানো বা দরবার শরীফ ভাঙচুরের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে তিনি জানান।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার পর ধ্বংসস্তূপ দেখতে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করছে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর 'ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি'র ব্যানারে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ সভা শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের দুজন আহত হন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলের বাড়ি ও দরবার শরীফ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা নুরাল পাগলের লাশ কবর থেকে তুলে এনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় পুড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুরাল পাগল গত ২৩ আগস্ট মারা যান এবং তার ভক্তরা তাকে দরবারের ভেতরেই কবর দিয়ে তার ওপর ১০ থেকে ১২ ফুট উঁচু একটি স্থাপনা তৈরি করে। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই স্থাপনাটির তীব্র বিরোধিতা করেন, কারণ তাদের মতে এটি সৌদি আরবের কাবার মতো দেখতে ছিল, যা ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী।