সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

আমি গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি’

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

আমি গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি’

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকার গুলশান থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (ডাকসু) বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ সময় রিয়াদ নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, "আমি গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।"

 গত জুলাই মাসে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতা হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ পরিচিতি লাভ করেন। তবে গত ২৬ জুলাই গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিনি ও তার কয়েকজন সহযোগী গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পর তাকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বহিষ্কার করা হয়।


 আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাত দিনের রিমান্ড শেষে রিয়াদকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। তার জবানবন্দিতে রিয়াদ জানিয়েছেন, তিনি ও আরেক বহিষ্কৃত নেতা অপু মিলে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন এবং সেই টাকা তারা সমানভাগে ভাগ করে নেন। তিনি জানান, পুলিশের কথা বিশ্বাস করে দ্বিতীয়বার ওই বাড়িতে গিয়ে তিনি অন্যদের সঙ্গে ধরা পড়েন।

পুলিশের তদন্তে রিয়াদের একাধিক বাসার সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাড্ডার একটি ভাড়া বাসা থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়, যা চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকারই অংশ বলে পুলিশের ধারণা। এছাড়াও, কলাবাগান থানায় পৃথক একটি মামলায় রিয়াদের বাসা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নেওয়া সোয়া দুই কোটি টাকার চারটি চেক উদ্ধার করা হয়।