জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
থাইল্যান্ডে শিল্প কারখানায়, বিশেষ করে আতশবাজি উৎপাদন কেন্দ্রে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রায়শই বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেশটিতে নিরাপত্তা বিধিমালা থাকলেও ভবন নির্মাণ কিংবা কর্মস্থলে তা কঠোরভাবে মানা হয় না, যার ফলে অতীতেও বহুবার এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি মধ্যাঞ্চলের একটি আতশবাজি কারখানায় আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে, যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ইস্যুকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে।
থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলের একটি আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২ জন। বুধবার দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ব্যাংককের উত্তরাঞ্চলের সুপ্তনবুড়ি প্রদেশের মুঅং জেলায় আতশবাজি কারখানায় ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী অন্যান্য কর্মীরা বিস্ফোরণে ধসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসাবশেষে হতাহতদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
দেশটির উদ্ধারকারী সংস্থার ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে মুঅং জেলার ওই কারখানা একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চারপাশে পোড়া ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি: ব্যাংকক পুলিশ প্রাথমিকভাবে এই বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়েছে বলে জানায়। পরবর্তীতে তল্লাশি অভিযান চলার সময় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত দুজনকে উদ্ধারের পর পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ওয়ানচাই খাওরাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা বিস্ফোরণের কারণ জানার চেষ্টা করছি।”
নিরাপত্তা ঘাটতি ও পূর্বের ঘটনা: থাইল্যান্ডে শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। দেশটিতে নিরাপত্তা বিধিমালা থাকলেও ভবন নির্মাণ কিংবা কর্মস্থলে তা কঠোরভাবে মানা হয় না। এর আগে, গত বছর একই প্রদেশের একটি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। তবে বুধবারের বিস্ফোরণের সময় কারখানায় কতজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এছাড়া আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা আবারও থাইল্যান্ডের শিল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে তুলে ধরেছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন: