জুলাই ৩১, ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানি বাংলাদেশের সমাজে একটি গুরুতর সমস্যা। এমন অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি নোয়াখালীর চাটখিলে একটি শিশু ধর্ষণচেষ্টার শিকার হলে, স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্তকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা আইন প্রয়োগে দ্রুততার একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে।
নোয়াখালীর চাটখিলে চতুর্থ শ্রেণির শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সাইদ মিয়া নামের এক অটোরিকশাচালককে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ কারাদণ্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্ত সাইদ মিয়া (৩৮) মৌলভীবাজার জেলাধীন মৌলভীবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত তজবির মিয়ার ছেলে। তিনি তার শ্বশুরবাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানাধীন ভাটরা ইউনিয়নের ডলটা বড় বাড়িতে বসবাস করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বদলকোট ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে অটোরিকশায় মাদ্রাসা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণচেষ্টা করে অভিযুক্ত সাইদ মিয়া। পরে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
বুধবার দুপুরে আবারও সেই অটোরিকশাচালক ওই শিক্ষার্থীর পথরোধ করে। তখন শিক্ষার্থী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে রিকশাচালককে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেয়। বিষয়টি জানার পর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান উপস্থিত হয়ে সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাইদ মিয়কে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
চাটখিলের ইউএনও মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা শিশুটির কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে অভিযুক্ত সাইদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করে। অভিযুক্ত রিকশাচালকের প্রতিবন্ধী সন্তান থাকায় মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।”
এই দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শিশু নির্যাতন রোধে সমাজের সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন: