আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি ইউক্রেন এবং সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, “ইউক্রেনে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে এবং দেশটির অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে, তা বন্ধ করা জরুরি। এটি একটি ভয়াবহ যুদ্ধ।” তিনি ট্রাম্পকে এই 'অচলাবস্থা ভাঙার' জন্য ধন্যবাদ জানান।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন বলেন, “আমরা এখানে এসেছি আপনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে ইউক্রেনের জন্য একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এবং হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে।” তিনি আরও বলেন, প্রতিটি শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারছি না যে, পরবর্তী বৈঠক যুদ্ধবিরতি ছাড়া হবে। তাই, আসুন আমরা এটি নিয়ে কাজ করি এবং রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করি।”
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “এটা কীভাবে নিশ্চিত করা যায় যে, এমন যুদ্ধ আবার ঘটবে না, এটাই সব ধরনের শান্তির পূর্বশর্ত।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, “গত কয়েক বছরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। আমাদের চাওয়া জোরালো ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের ধারণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটাই সমাধানের একমাত্র পথ।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, এই বৈঠক শুধু ইউক্রেন নয়, পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব বলেন, এই বৈঠক খুবই প্রতীকী, কারণ এটি প্রমাণ করে যে, 'টিম ইউরোপ' এবং 'টিম যুক্তরাষ্ট্র' একসঙ্গে ইউক্রেনকে সহায়তা করছে। তিনি ১৯৪৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের সংঘাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমরা ১৯৪৪ সালে একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত, ২০২৫ সালেও আমরা রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধে একটি সমাধান পাব এবং একটি স্থায়ী ও ন্যায়সঙ্গত শান্তি অর্জন করতে সক্ষম হব।”