সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, "মোদি চোর, অমিত শাহ চোর, বিজেপি চোর"। তার এই মন্তব্য দুই দলের মধ্যে সংঘাতকে আরও গভীর করেছে।
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে কেন্দ্রের নতুন অভিবাসন আইনকে ঘিরে। এই আইনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশের সংখ্যালঘুরা যারা ভারতে এসেছেন, তারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই থাকতে পারবেন।
বিজেপি এটিকে মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি বলেন, বিজেপি নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুরু হওয়ার পর থেকেই বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। তারা কাগজ ছুঁড়ে তার বক্তব্য বন্ধ করার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্পিকারকে চার বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করতে হয়।
জবাবে বিজেপি শিবিরও মুখ্যমন্ত্রীকে 'চোর' বলে স্লোগান দেয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও কঠোর ভাষায় মোদি ও অমিত শাহকে আক্রমণ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাকযুদ্ধ শুধু মুখের লড়াই নয়, এর গভীরে রয়েছে ২০২৬ সালের নির্বাচন। বিজেপি যেভাবে উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছে, তৃণমূল এটিকে ভোট রাজনীতির চাল হিসেবে দেখছে। আবার মমতার এই আক্রমণাত্মক ভাষা তার সমর্থকদের কাছে শক্তি যোগাচ্ছে।
অন্যদিকে, বিরোধীরা মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তবে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতির মোকাবিলায় এই আক্রমণই প্রয়োজনীয়।