সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:২৭ এএম
ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক সময় আমাদের শরীরজুড়ে এক ধরনের আড়ষ্টতা বা ব্যথা অনুভূত হয়। বিছানা থেকে নামলেই পায়ের তালুতে ব্যথা, হাত-পায়ের ভাঁজে ভাঁজে যন্ত্রণা—এমন সমস্যা অনেকেই প্রতিদিন অনুভব করেন। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে সতেজ করার বদলে কেন এমনটা হয়, তার কয়েকটি কারণ রয়েছে।
১. ভালো ঘুমের অভাব: যদি রাতে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও ঘুমের মান ভালো না হয়, তাহলে সকালে শরীর ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। ঘুমের মধ্যে যদি বারবার ভেঙে যায়, তাহলে শরীরের কোষ ও টিস্যুগুলো সঠিকভাবে মেরামত হতে পারে না। এর ফলে সকালে শরীরে ব্যথা ও অলসতা কাজ করে। ভালো ঘুমের জন্য কিছু টিপস:
-
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান।
-
শোবার ঘরকে আরামদায়ক তাপমাত্রায় রাখুন।
-
ঘুমানোর ছয় ঘণ্টা আগে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
-
ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভি দেখা বন্ধ করুন।
২. দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ: অতিরিক্ত কাজের চাপ বা মানসিক চাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা পেশিতে ব্যথার কারণ হতে পারে। মানসিক চাপ শরীরকে ক্রমাগত টানটান রাখে, যার ফলে পেশিতে প্রদাহ হয় এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যথা অনুভূত হয়। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং বাইরের আলো-বাতাসে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।
৩. অপর্যাপ্ত বা অতিরিক্ত ব্যায়াম: ব্যায়ামের অভাব যেমন পেশি ব্যথার কারণ হতে পারে, তেমনি মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়ামও একই ফল আনতে পারে। শরীরকে যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া না হয়, তাহলে পেশিগুলো পুনরুদ্ধার হতে পারে না, যার ফলে সকালে ব্যথা হয়। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যায়াম থেকে বিরত থাকা উচিত। আবার, যারা একেবারেই ব্যায়াম করেন না, তাদের পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিটের হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলার অভ্যাস পেশিগুলোকে সচল রাখে।
৪. খাদ্যাভ্যাস: শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবেও ব্যথা হতে পারে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যালকোহল জাতীয় খাবার পেশিতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এর পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় তৈলাক্ত মাছ, ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং আদা ও হলুদের মতো মসলা যোগ করা উচিত, যা পেশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।