সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
সৌদি আরব এবং পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি দুই দেশের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করেছে এবং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়েছে। এখন থেকে সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশ নিজেদের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে।
দুই দেশ একসঙ্গে হামলার জবাব দেবে। আলহামদুলিল্লাহ!” তিনি আরও বলেন, “আসলে এমন চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই।”
বিশ্লেষকদের মতে, উপসাগরীয় দেশগুলো ঐতিহাসিকভাবে তাদের নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেই নির্ভরশীলতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিশেষত, কাতারে ইসরায়েলের হামলার পর এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সৌদি-পাকিস্তান চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চুক্তি অনুযায়ী, যদি কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হয়, তবে অন্য দেশ সেটিকে নিজেদের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করবে এবং এর যৌথ জবাব দেবে। রয়টার্সকে এক সৌদি কর্মকর্তা জানান, এটি দীর্ঘ আলোচনার ফসল এবং এর উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তি দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার, আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যৌথ প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ।
যদিও এক সৌদি কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। আমরা এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই।”