সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তাদের অবহেলা ও অপরাধের শাস্তি বাড়িয়ে দুটি অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংশোধনের ফলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কাজে গতিশীলতা আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কমিশনের কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন, আইন লঙ্ঘন করেন, বা কর্তব্যে অবহেলা করেন, তবে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এই অপরাধ প্রমাণিত হলে ওই কর্মকর্তাকে এক বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
যদি কমিশনের দেওয়া শাস্তি কার্যকর না করা হয়, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।এছাড়াও, অসদাচরণের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, পদাবনত করা, অথবা দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কমিশনের অনুরোধের এক মাসের মধ্যে যদি কোনো নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাদের অধীনস্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়, তবে কমিশন নিজেই ওই কর্মকর্তাকে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করতে পারবে। এই শাস্তির তথ্য অভিযুক্ত কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথিতে লিপিবদ্ধ থাকবে।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সরকার ও কমিশনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে। নতুন এই আইনগুলোর লক্ষ্য হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত কর্মকর্তাদের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।