সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ এবং চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে একসাথে কাজ করবে। এই সহযোগিতা উভয় দেশ এবং বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে।বুধবার রাতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের
৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চীনা দূতাবাস আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তার এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে। তিনি দুই দেশের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, “দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বদা ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশের আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবায় চীনের অবদানের প্রশংসা করেন। সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ এবং সাংবাদিকসহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, প্রদর্শনী এবং এন্টারপ্রাইজ বুথ ছিল, যা দর্শকদের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করে।