সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
সম্প্রতি এক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির আত্মহত্যার পর তার চল্লিশা ঋণ করে পালন করার মতো দুঃখজনক ঘটনাকে জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব এবং অজ্ঞতা বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, এটি সমাজের একটি নির্মম বাস্তবতা যা ইসলাম-বহির্ভূত কুসংস্কারের কারণে ঘটে।
তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, "যিনি ঋণের ভারে আত্মহত্যা করলেন, ঋণ করেই তার চল্লিশা করা হলো। দীনি শিক্ষার অভাব এবং দীন সম্পর্কে অজ্ঞতা যে কতটা নির্মম হতে পারে, এ ঘটনা থেকে তা আমরা নতুন করে উপলব্ধি করলাম।"
তিনি বলেন, ইসলাম অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রাকৃতিক একটি ধর্ম। ইসলামের সকল আর্থিক বিধান শুধু সামর্থ্যবানদের জন্য। কিন্তু চল্লিশার মতো যে কুসংস্কার আমরা ইসলামের মধ্যে ঢুকিয়েছি, তা অনেক সমাজে সকলের ওপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি ঋণ বা জমি বিক্রি করে হলেও তা পালন করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, "অন্যান্য দলিল-প্রমাণ একপাশে সরিয়ে রেখে শুধু এটুকু দেখেই চল্লিশার অযৌক্তিকতা ও অন্তঃসারশূন্যতা উপলব্ধি করা যায়। আল্লাহপ্রদত্ত বিধান আর মানুষের তৈরি নিয়মের মৌলিক পার্থক্য এখানেই।"
শায়খ আহমাদুল্লাহ সুদভিত্তিক ঋণ ব্যবস্থারও সমালোচনা করে বলেন, "অভিশপ্ত সুদ কীভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে দরিদ্রকে আরও নিঃস্ব বানাচ্ছে আর সুদি মহাজনদের আরও বিত্তশালী বানাচ্ছে, আলোচ্য ঘটনা তার একটি উদাহরণ।" তিনি প্রশ্ন রাখেন, "ঋণের ছোবলে জীবনের ওপর কতটা অন্ধকার নামলে কোনো মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে?"
তিনি তার পোস্টের শেষে বলেন, "এই জাতীয় ঘটনা দুদিন পরপর ঘটে আর আমাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে বলে যায়, দীনের চর্চা এবং ইসলামী অনুশাসন ও মূল্যবোধ ছাড়া প্রকৃত সুখের ঠিকানা আমরা কোনোদিন খুঁজে পাব না।"