জুলাই ২২, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২৬ শিশুসহ ২৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ক্রীড়াঙ্গনেও প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের পাশাপাশি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন সফররত পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও। মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাইরে এই মানবিক বিপর্যয়ে তাদের সংহতি এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে পাকিস্তান দল। খেলার মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও, মাঠের বাইরের এই হৃদয়বিদারক ঘটনা তাদেরও স্পর্শ করেছে। পাকিস্তানের একাধিক তারকা ক্রিকেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, যিনি এই সিরিজে দলে নেই, তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন: "হৃদয়বিদারক এবং মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য প্রার্থনা করছি। পরিবারগুলো যেন শক্তি ফিরে পায় এবং অলৌকিক কিছুর আশায় আছি।"
দলের আরেক পেসার হাসান আলী, যিনি স্কোয়াডে না থাকলেও, ফেসবুকে শোক প্রকাশ করে লেখেন: "ঢাকার মর্মান্তিক খবরে শোকাহত। অনেকগুলো নিষ্পাপ প্রাণ অকালে ঝরে গেল। হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে আছে আমার হৃদয়। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে ধৈর্য দিন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।"
ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য প্রস্তুত থাকা তরুণ পেসার নাসিম শাহ তার বার্তায় লিখেছেন: "বাংলাদেশ থেকে মর্মান্তিক খবর পেলাম, যে দেশটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। এই বিধ্বংসী দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সবার জন্য দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে সবাই যেন শক্তি ও শান্তি ফিরে পান।"
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে ৪৪ রান করে আলো ছড়ানো ওপেনার ফখর জামানও তার এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করে বলেছেন: "ঢাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় খুব খারাপ লাগছে। যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং দোয়া করছি।"
আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই ম্যাচ কেবল ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে সীমাবদ্ধ থাকছে না। ম্যাচ শুরুর আগে শোক পালনের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে এক মিনিট নীরবতা পালন করবেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়দের হাতে থাকবে কালো আর্মব্যান্ড, যা শোকের প্রতীক। স্টেডিয়ামে কোনো ধরনের সংগীত বাজানো হবে না এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সব ভেন্যুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এই শোকাবহ মুহূর্তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের এই মানবিকতা এবং সংহতি ক্রীড়াঙ্গনে এক ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে, যা প্রমাণ করে খেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঊর্ধ্বেও মানবতা ও সহানুভূতি বিদ্যমান।
আপনার মতামত লিখুন: