বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

খেলোয়াড়দের সচেতন করতে কর্মশালা নেবে বিসিবি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ৩০, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম

খেলোয়াড়দের সচেতন করতে কর্মশালা নেবে বিসিবি

ছবি- সংগৃহীত

ক্রিকেট বাংলাদেশে কেবল একটি খেলা নয়, এটি একটি আবেগ। ক্রিকেটাররা দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হন। তাদের মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ব্যক্তিগত আচরণও জনসমক্ষে আসে এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের অন্যতম তারকা পেসার তাসকিন আহমেদকে ঘিরে ওঠা একটি বিতর্কের জেরে খেলোয়াড়দের আচরণ ও দায়িত্ববোধ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের আরও সচেতন করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে।

বাংলাদেশ দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ তার এক বন্ধুকে মেরেছেন—এমন খবরের বিতর্ক তুঙ্গে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তীব্র সমালোচনা। বাংলাদেশের এই পেসার অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন। তবে খেলোয়াড়দের এই ভাবমূর্তি ক্ষুন্নর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

টাইগার বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের আরও সচেতন করতে তারা একটি কর্মশালার আয়োজন করবেন। ক্রিকেটারদের শুধু মাঠের মধ্যেই নয়, ক্রিকেটের বাইরেও যে কিছু দায়িত্ব থাকে—সেটি সম্পর্কে অবহিত করবে এই সচেতনতামূলক কর্মশালা।

ইফতেখার আহমেদ বলেন, “আগস্টে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি ছোট কর্মশালার আয়োজন করতে চাই। আমাদের মনে হয়েছে, তাদের মনে করিয়ে দেওয়া দরকার—তারা শুধু খেলোয়াড়ই নন বরং দেশের তরুণদের আদর্শও। অনেকেই তাদের অনুসরণ করেন, ফলে তাদের দায়িত্ববোধও রয়েছে।”

সম্প্রতি তাসকিনের বিরুদ্ধে থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, তাসকিন ফোন করে অভিযোগকারী সৌরভকে মিরপুর ১ নম্বরে ডেকে নেন। সেখানে তাকে কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এছাড়াও অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি ও হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সৌরভ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বিসিবি।

তবে বিসিবি এখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না বলে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “তাসকিন দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। এখন তদন্ত হবে। তাসকিন বলেছে সে জড়িত না। যেহেতু একটি জিডি হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।”

এই কর্মশালার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে উৎসাহিত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।