বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

তামিমকে শুধু বিনোদনমূলক ম্যাচ খেলার পরামর্শ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ৩০, ২০২৫, ০১:৪১ পিএম

তামিমকে শুধু বিনোদনমূলক ম্যাচ খেলার পরামর্শ

ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে তামিম ইকবাল এক কিংবদন্তী নাম। তার পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্ব দলের জন্য বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার স্বাস্থ্য নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের পর তার মাঠে ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে, তার দীর্ঘদিনের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিমের পরামর্শ, যা তামিমকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট এড়িয়ে চলার কথা বলছে, তা ক্রিকেট মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। গত ২৪ মার্চ অল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার হার্ট অ্যাটাক হয় তার। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হলে রিং পরানো হয় হার্টে। আপাতত সুস্থ আছেন তামিম, তবে এখনও ফেরেননি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে।

মাসকয়েক আগে তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কবে ফিরবেন ক্রিকেটে? বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘দ্রুতই।’ অসুস্থতার পর বেশ কয়েকদিন ব্যাট হাতেও দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের ট্রেনার ও তামিমের অসুস্থতা পর্যবেক্ষণ করা ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম অবশ্য তামিমকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে ডালিম মনে করেন, সিরিয়াস ক্রিকেটে ফিরে আসা তামিমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

তামিমকে পরামর্শ দিয়ে ট্রেনার ডালিম বলেছেন, “এখন তামিমের খেলার সম্ভাবনা বলতে বিনোদনের জন্য ঠিক আছে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট, হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ—যেমন বিপিএল, ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল—এই ধরনের ম্যাচগুলো একটু... আসলে এটা নির্ভর করবে তামিমের উপর, তিনি কীভাবে সেটা নেবেন। তবে আমার পরামর্শ থাকবে, ট্রেনিং করা এবং কেবল বিনোদনমূলক খেলাগুলোতে ফোকাস করাই ভালো।”

এ বছরের মার্চে ডিপিএল চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। মৃত্যুর মুখ থেকে সে যাত্রায় বেঁচে ফেরেন। পরে জানা যায়, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। পরানো হয় রিং। এরপর ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন তামিম।

এত বড় অসুস্থতার পর স্বাভাবিকভাবেই তামিম ছিটকে যান মাঠের বাইরে। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে বেধে দেওয়া হয় সময়, খেলায় ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে তিন মাস। চিকিৎসকরা মনে করেন, তামিম ফিট হলে তবেই খেলতে পারবেন।

তামিমের এমন শারীরিক অবস্থা ও ট্রেনারের পরামর্শ, তার ভবিষ্যৎ ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি করেছে।