জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দুই রাষ্ট্র সমাধানের জন্য বিভিন্ন দেশ বারবার আহ্বান জানালেও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল। সম্প্রতি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো প্রভাবশালী দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর পর পরই কানাডার ওপরও চাপ বাড়ছিল। এই প্রেক্ষাপটে, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার পথে একটি নতুন মোড় তৈরি করেছে।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এই খবর নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, "ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।"
তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসনব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এ ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
এর আগে, কয়েক দিন আগে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। পরে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর থেকেই মার্ক কার্নির ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক। তাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড কানাডার স্বার্থ ও মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে।
আপনার মতামত লিখুন: