সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দেওয়া এই পোস্টে তিনি বলেন, 'আজ ডাকসুতে যারা জিতবে, তারা কীভাবে দায়িত্ব নেবে এবং যারা হারবে, তারা কীভাবে পরাজয় গ্রহণ করবে- এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর বলে দেবে আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব বিস্তার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তার মতে, পেশিশক্তি ও সংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছাত্র রাজনীতির নিজস্ব চরিত্রকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তিনি মনে করেন, ডাকসু এখন আর শুধু ছাত্রদের ম্যান্ডেট বহন করছে না, বরং জাতীয় রাজনৈতিক দলের একটি 'এক্সটেনশন গেমে' পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ভিন্ন মতের শিক্ষক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি গণহারে 'ট্যাগ' বসানোর প্রবণতারও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি এটিকে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভাজন, সন্দেহ ও দমননীতির ধারাবাহিকতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই মানসিকতা দীর্ঘমেয়াদে দেশের রাজনীতিকে অনিরাপদ ও সংকুচিত করে তুলবে।
তিনি ছাত্র রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে নিয়মিত নতুন নেতৃত্বের উত্থান এবং পরাজয়কে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, 'সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা।' তিনি গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হিসেবে সহিষ্ণুতার ওপর জোর দেন এবং বলেন, 'যাকে আমি পছন্দ করি না, তাকেও যদি জনগণ বেছে নেয়, সেটিকে সম্মান করাই গণতন্ত্র।' তিনি সব রাজনৈতিক দলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, পরাজয়কে সম্মানিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না হলে গণতন্ত্র কখনোই পূর্ণতা পাবে না।