লিটনদের ছক্কা হাঁকানো শেখাতে যে কোচকে আনছে বিসিবি

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সফল হতে হলে ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলার এবং বাউন্ডারি হাঁকানোর ক্ষমতা থাকা জরুরি। বাংলাদেশ দল সাম্প্রতিক সময়ে কিছু উন্নতি করলেও এই ফরম্যাটে ছক্কা মারার ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে আছে। আসন্ন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তারা একজন আন্তর্জাতিক মানের পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগ দিচ্ছে, যা দলের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও আগ্রাসী ব্যাটিং এবং ছক্কা হাঁকানোর কৌশল শেখাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একজন বিশেষজ্ঞ পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগ দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে অন্যতম সেরা এই কোচ হলেন জুলিয়ান উড। আগস্ট মাসে তিনি ঢাকায় এসে জাতীয় দলের সঙ্গে তিন সপ্তাহের জন্য কাজ করবেন। তার অধীনেই আগামী সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নেবে টাইগাররা।

২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির খেলা নিয়ে নতুন তথ্য

বিস্তারিত পড়ুন

অবিশ্বাস্য জয়ে উইন্ডিজের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার রাজ

বিস্তারিত পড়ুন

বিসিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে নিশ্চিত করেছেন যে, ৬ আগস্ট মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরুর আগেই জুলিয়ান উড ঢাকায় পৌঁছাবেন।

জুলিয়ান উড নিজেও এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি ক্রিকবাজকে বলেন, “হ্যাঁ, আমি ফিল সিমন্সের সঙ্গে কথা বলছি। মূলত আগস্টে তিন সপ্তাহের জন্য যাচ্ছি। যদিও এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তবে সম্ভাবনা অনেক বেশি। আগস্টে এশিয়া কাপের আগে আমি ঢাকায় যাচ্ছি। এরপর থাকবো কিনা সেটা বিসিবির ওপর নির্ভর করছে।”

পাওয়ার হিটিং বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে উড বলেন, “আমার মনে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে। সাদা বলের ক্রিকেটে এখন ব্যাটিংয়ের একটি বড় অংশ হয়ে গেছে শক্তি দিয়ে শট খেলা। আমার কাজ হবে তাদের তথ্য দেওয়া, কীভাবে তারা তাদের শক্তি আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারে।”

উড এর আগে বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং তার এই নতুন দায়িত্ব নিয়ে তিনি খুবই আগ্রহী।

শুধু পাওয়ার হিটিং কোচই নয়, বিসিবি খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তি বাড়াতে একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্টও নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা একজন স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট আনতে চাই। তার সঙ্গে স্থানীয় কাউকে রাখারও পরিকল্পনা আছে, যাতে ভাষার সমস্যা না হয় এবং স্থানীয়রাও শিখতে পারে।” জানা গেছে, হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে কাজ করা ডেভিড স্কট এই পদের জন্য বিবেচনায় রয়েছেন।