জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নির্ভর করে বিচারিক প্রক্রিয়া কতটুকু নিরাপদ ও নিরপেক্ষ, তার ওপর। যখন কোনো মামলার সাক্ষী আদালত চত্বরেই হামলার শিকার হন, তখন তা বিচারিক প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ঝালকাঠিতে একটি আলোচিত হত্যা মামলার সাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনাটি তেমনই এক গুরুতর বিষয়, যা জনসাধারণের নিরাপত্তার পাশাপাশি ন্যায়বিচারের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত চত্বরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত সাবেক ইউপি সদস্যের নাম আবদুল মন্নান মৃধা ওরফে চুন্নু (৫২)। তিনি ২০২৩ সালের আলোচিত রুবেল গাজী হত্যা মামলার একজন সাক্ষী। আজ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি কয়েকজন আসামিকে চিহ্নিত করেন। সাক্ষ্য শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় অভিযুক্ত আসামিরা তাকে ঘিরে ধরে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তার মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুন্নুর চিৎকারে আদালতপাড়ার লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আদালতের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশকে দ্রুত মামলা নিতে নির্দেশ দেন।
আহত আবদুল মন্নান মৃধা বলেন, “আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বের হতেই আসামিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। আমি ন্যায়বিচার চাই।” মামলার বাদী জসিম গাজী বলেন, “আমার ছেলেকে হত্যার পর এখন মামলার সাক্ষীকেই হত্যার চেষ্টা করছে তারা, যাতে মামলা ধামাচাপা পড়ে যায়।”
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “আদালতের নির্দেশ আমরা পেয়েছি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।”
আপনার মতামত লিখুন: