বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার শঙ্কা: ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগে সতর্কতা জারি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২২, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম

ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার শঙ্কা: ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগে সতর্কতা জারি

ছবি- সংগৃহীত

আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই, ২০২৫) উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। এই লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৩ থেকে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ও এর উজানে (ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ) চারদিনে সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই, ২০২৫) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পানি সমতল সম্পর্কিত এক বিশেষ বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি আবারও বাড়তে পারে। বিশেষ করে, ফেনী জেলার মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং এর ফলস্বরূপ ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আসন্ন লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে, এই সময়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগেও যথেষ্ট ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এসব অঞ্চলের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিও রয়েছে, যা প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একই সঙ্গে, এই অঞ্চলগুলোর জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তাই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এই সময়ের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, যেমন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা, এখনই হাতে নেওয়া উচিত।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস মাথায় রেখে সবাইকে সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।