জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
কুরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়া একটি অত্যন্ত কঠিন এবং মর্যাদাপূর্ণ কাজ, যা সাধারণত বছরের পর বছর ধরে লেগে থাকে। কিন্তু যখন একজন শিশু মাত্র কয়েক মাসে এই অসাধারণ কাজটি সম্পন্ন করে, তখন তা সবার কাছেই এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এমন এক বিরল প্রতিভার অধিকারী শিশু তানভীরের সাফল্য গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যা প্রমাণ করে যে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
মাত্র ১৭৫ দিনে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করেছে শিশু ছায়েদুজ্জামান তানভীর। শনিবার দুপুরে শাহরাস্তি উপজেলা সদরের শাহরাস্তি দারুল কুরআন মাদ্রাসায় এক অনুষ্ঠানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাফেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তানভীর শাহরাস্তি পৌরসভার নিজমেহার মোল্লা বাড়ির মোহাম্মদ নূরুন্নবীর দ্বিতীয় ছেলে। তার এই অসাধারণ সাফল্যকে সমাজের জন্য গর্বের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল হোসাইন। তিনি বলেন, “তানভীরের এই সাফল্য আমাদের সমাজের জন্য গর্বের। এ ধরনের অর্জন প্রমাণ করে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছুই সম্ভব।”
বিশেষ অতিথি হাজীগঞ্জ আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফি বলেন, “তানভীর শিশুদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রযুক্তির এই যুগে একজন শিশু যখন কুরআনের আলোয় নিজেকে গড়ছে, তখন তা সমাজের জন্য আশার আলো হয়ে ওঠে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মন্টু, শাহরাস্তি ইসলামী কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা খলিলুর রহমান, প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. মঈনুল ইসলাম কাজল এবং প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা সচিব মাওলানা আবু সুফিয়ান রাজাপুরী।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান বুলবুলি জানান, “তানভীর অত্যন্ত মনোযোগী ও বিনয়ী ছাত্র। ধারাবাহিক অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার মাধ্যমে সে মাত্র ১৭৫ দিনে কুরআন মুখস্থ করেছে।”
এই অনুষ্ঠানে হাফেজ তানভীরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মাদ্রাসায় নতুন ৩৩ জন ছাত্রের পাঠদানের সূচনা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন: