শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

দাউদকান্দিতে ২৩ মামলার আসামি মামুনকে কুপিয়ে হত্যা‍‍`

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

দাউদকান্দিতে ২৩ মামলার আসামি মামুনকে কুপিয়ে হত্যা‍‍`

ছবি- সংগৃহীত

কুমিল্লায় দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মো. মামুন নামের একজন কুখ্যাত ব্যক্তি হত্যা, মাদক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলার আসামি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পান। স্থানীয়দের মতে, তিনি গৌরিপুর এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জেরে তার ওপর হামলার আশঙ্কা ছিল। শুক্রবার রাতে কক্সবাজার যাওয়ার পথে গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

 কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২৩টি মামলার আসামি মো. মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন (৩৮) তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে মুকবুল মেম্বারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দাউদকান্দি ও তিতাস থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।





দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, মামুনসহ আরও তিন নারী রাতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে বাসে ওঠেন। বাসটি দাউদকান্দির গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডে থামলে পানি কিনতে তিনি গাড়ি থেকে নিচে নামেন। ঠিক তখনই ৩ থেকে ৪ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মামুন গৌরিপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতা থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে মামুনকে ১৮০ পিস ইয়াবা ও ৩০ লিটার দেশীয় মদসহ আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”

পুলিশের ধারণা, অপরাধ জগতের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।