জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে ছোট আকারের বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত বা শৌখিন উড়োজাহাজ নিয়ে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নজরদারি আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ইতালির একটি হাইওয়েতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনাটি আবারও সেই উদ্বেগ সামনে নিয়ে এসেছে।
ইতালির উত্তর লম্বার্দি প্রদেশের ব্রেসিয়া শহরের একটি ব্যস্ত হাইওয়েতে একটি ছোট আকারের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে দাউদাউ আগুনে জ্বলে উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে সংঘটিত এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কে দ্রুত গতিতে ছুটে চলা গাড়ির সামনেই বিমানটি মুখ থুবড়ে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাতে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি একটি ফ্রেসিয়া আরজি আল্ট্রালাইট উড়োজাহাজ। নিহতরা হলেন বিমানের চালক, পেশায় আইনজীবী ও শৌখিন পাইলট সার্জিও রাভাগলিয়া (৭৫), এবং তার বান্ধবী অ্যান মারি ডি স্টেফানো (৬০)। তারা দুজনেই লম্বার্দির রাজধানী শহর মিলানের বাসিন্দা ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তারা ছাড়া আর কেউ বিমানটিতে ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাইলট সার্জিও রাভাগলিয়া হাইওয়েতে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং বিমানটি সরাসরি রাস্তায় আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, জ্বলন্ত বিমানটির পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি। এর মধ্যে দুটি গাড়ির চালক সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
বিমান বিধ্বস্তের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও দমকলবাহিনী। তবে ততক্ষণে বিমানটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ব্রেসিয়া শহরের পাবলিক প্রসিকিউটর দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণের নথি এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে গত জুন মাসে অহমদাবাদের লোকালয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। সেটির গন্তব্য ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক। ওই দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যার মধ্যে ২৪১ জন ছিলেন বিমানটির যাত্রী।
আপনার মতামত লিখুন: