শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২

কলেজছাত্র হত্যা: ওসিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

মোস্তাফিজুর রহমান

আগস্ট ২২, ২০২৫, ১০:০৬ এএম

কলেজছাত্র হত্যা: ওসিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

ছবি-দিনাজপুর টিভি

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় কলেজছাত্র সিজু মিয়া হত্যার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম-সহ ১৩ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সাঘাটা আমলী আদালতের বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আল আসাদ জানান, শুনানি শেষে আদালত দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

 নিহত সিজু মিয়ার মা রিক্তা বেগম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৪ জুলাই বিকেলে সাঘাটা থানা পুলিশ গাইবান্ধা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বর থেকে তার ছেলে সিজুকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর মৃতপ্রায় অবস্থায় তাকে থানার পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় এবং পরে লাঠিপেটা করে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ওই পুকুর থেকেই সিজুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রিক্তা বেগম বলেন, "আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।"

নিহত সিজু মিয়া (২৫) গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং গিদারি ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন: সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম, এএসআই রাকিবুল ইসলাম, এসআই মশিউর রহমান, এসআই মহসিন আলী, কনস্টেবল হামিদুল ইসলাম, কনস্টেবল আজাদুল ইসলাম, কনস্টেবল নয়ন চন্দ্র, কনস্টেবল জয় চন্দ্র, এএসআই আহসান হাবিব, কনস্টেবল ধর্ম চন্দ্র বর্মন, এসআই উজ্জ্বল, ডিউটি অফিসার এএসআই লিটন মিয়া। এছাড়াও স্থানীয় দুই যুবক সাব্বির হোসেন, ইউসুফ, মমিনুল ও অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছিলেন। সে সময় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও এক মাস পরও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় নিহতের মা আদালতের আশ্রয় নেন।