শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২

জোকোভিচ সরকারের রোষানলে, পরিবার নিয়ে গ্রিসে ‘পালাচ্ছেন’

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৩:০০ পিএম

জোকোভিচ সরকারের রোষানলে, পরিবার নিয়ে গ্রিসে ‘পালাচ্ছেন’

ছবি- সংগৃহীত

সার্বিয়ার প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ নিজ দেশের সরকারের রোষানলে পড়েছেন। গত বছর ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে সমর্থন জানানোর কারণে সরকার এবং তাদের অনুগত গণমাধ্যম জোকোভিচকে তীব্র সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি পরিবার নিয়ে গ্রিসে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলে জার্মান সংবাদমাধ্যম 'নই জ্যুরশে জাইটং' জানিয়েছে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে নোভি সাদ শহরে একটি রেল স্টেশনের ছাউনি ভেঙে পড়ায় ১৬ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। তখন থেকেই জোকোভিচ ছাত্রনেতৃত্বাধীন এই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছিলেন, "যুবসমাজের শক্তি ও তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি। তাদের কণ্ঠস্বর শোনা জরুরি।" এরপর যখন আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারি দমন-পীড়ন শুরু হয়, তখনও তিনি এর নিন্দা জানান।

জোকোভিচের এই রাজনৈতিক অবস্থানের পর থেকে সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলো তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা শুরু করে। একটি স্থানীয় পত্রিকা প্রথমে তার কাজকে 'লজ্জাজনক' বলে আখ্যায়িত করে। পরবর্তীতে যখন তার গ্রিসে চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে 'ভুয়া দেশপ্রেমিক' বলা হয়। এমনকি, তার বাবার বিরুদ্ধেও শিশু নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।

 ২০২৫ সালের উইম্বলডন জয়ের পর জোকোভিচের নাচের ভঙ্গিমা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। অনেকে মনে করেন, এটি ছাত্র আন্দোলনের স্লোগান 'পাম্প'-এর প্রতি ইঙ্গিত। যদিও জোকোভিচ তা অস্বীকার করে বলেন, এটি তার এবং তার সন্তানদের একটি গানের সঙ্গে সম্পর্কিত, যার নাম 'পাম্প ইট আপ'। তিনি বলেন, "এটি একটি পুরোনো গান, যার তাল দারুণ।"

এই ঘটনায় জোকোভিচ এবং তার পরিবার রাজনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে, যা তাকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবতে বাধ্য করছে।