শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার, চাঁদাবাজির টাকা প্রশাসনের পকেটে!

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২২, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার, চাঁদাবাজির টাকা প্রশাসনের পকেটে!

ছবি- সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ঘাটে চাঁদাবাজির টাকা স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে যাচ্ছে বলে একটি চাঞ্চল্যকর অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রের খবর, চরএলাহী ঘাটটি সরকারিভাবে ইজারা দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের এক ব্যক্তি উচ্চ আদালতে রিট করায় ঘাটটি ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম। এই সুযোগে, গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি'র দু'টি পক্ষের মধ্যে আধিপত্যের লড়াই চলছে। এই সংঘর্ষের জের ধরে ইতোমধ্যে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা এবং যুবদল নেতা এরশাদ মাঝি খুন হয়েছেন।

 সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইস্কান্দার মির্জা এবং ঘাটের কেরানি সেলিমের মধ্যে কথোপকথন শোনা যায়। তাতে বলা হয়, ঘাটের বোটগুলোর আয়ের ২০ শতাংশ কমিশন প্রতিদিন জমা হয় এবং সেই টাকা উপজেলা বিএনপি'র নেতা, জেলা নেতা, ইউএনও, ডিসি, ওসি-এসপিকে ভাগ করে দিতে হয়। আরেক অডিওতে ছাত্রদল নেতা মির্জা একজন কথিত সাংবাদিককে বলেন যে, তিনি এই পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ টাকা কমিশন দিয়েছেন।

অডিওতে ইস্কান্দার মির্জা জানান, তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো এবং যখন তিনি জিজ্ঞেস করতেন টাকা কাকে দেওয়া হয়, তখন তাকে বলা হয়, এই টাকা নুরুল আলম সিকদারসহ বিএনপি'র অন্যান্য নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিতে হয়।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, ঘাট নিয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। অন্যদিকে, নোয়াখালী জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের দল 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে।