সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২

আরিচা ঘাটে সক্রিয় ছিনতাই চক্র, লুটের শিকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১০:৪২ এএম

আরিচা ঘাটে সক্রিয় ছিনতাই চক্র, লুটের শিকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

ছবি- সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের আরিচা স্পিডবোট ঘাট এখন স্বর্ণ ছিনতাইকারীদের 'নিরাপদ অঞ্চল' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। গত দুই বছরে এই ঘাটে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১৩৫ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনা ঘটেছে, যার কোনোটিই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে এসব চক্র দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আরিচা ঘাট ও এর আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার বিবরণ দেওয়া হলো:

  • ১৩ আগস্ট, ২০২৫: সিংগাইরের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের কাছ থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই হয়। এই ঘটনায় সাজাহান, সজল ও ইসরাফিল হোসেনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল হোতা খোকন এখনো পলাতক।

  • ১ জুন, ২০২৪: নবাবগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন বৈদ্যকে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে ৯৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই করা হয়। স্থানীয়দের গণপিটুনিতে পাঁচজন ধরা পড়লেও মূল হোতারা পালিয়ে যায়। পরে ৪৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

  • ১৬ জুলাই, ২০২৪: সিংগাইরের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৭০ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় এই ঘটনা ঘটে, যার ফলে কোনো স্বর্ণই উদ্ধার হয়নি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা এসব চক্রকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। সর্বশেষ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান জানান, তারা প্রতিদিন আতঙ্কে থাকেন। ভুয়া পুলিশ ও ডিবি পরিচয় দিয়ে এই চক্র তাদের টার্গেট করছে। থানায় অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয় না।

এ বিষয়ে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, "সাম্প্রতিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল হোতারা এখনো ধরা পড়েনি। অভিযান অব্যাহত আছে।" তিনি আরও জানান, আগের দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।