বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

গাইবান্ধায় বহুল প্রত্যাশিত মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধন

মোস্তাফিজুর রহমান

আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৬:১১ পিএম

গাইবান্ধায় বহুল প্রত্যাশিত মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধন

ছবি-দিনাজপুর টিভি

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাকে সংযুক্তকারী মওলানা ভাসানী সেতুর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুর ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচন করে এর উদ্বোধন করেন।

সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বোধনোত্তর এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি একটি বৃহৎ প্রকল্প। সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এটি নির্মাণ করেছে। জমি অধিগ্রহণ, মূল সেতু, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, উন্নত লাইটিং ব্যবস্থা এবং নদী শাসনসহ এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৮৫ কোটি টাকা।

সেতুটির ফলক ২০১৪ সালে উন্মোচন করা হলেও নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। ২০২৪ সালের জুনে এর অবকাঠামোর কাজ শেষ হয় এবং নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে বুধবার এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

এই সেতু চালুর ফলে দুই জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে, যার ফলে যাতায়াতের সময় প্রায় ৪ ঘণ্টা কমে আসবে। একই সঙ্গে সড়কপথে ঢাকার দূরত্বও ১৩০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। স্থানীয়রা আশা করছেন, সেতুটি খুলে দেওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়েত ও কৃষি পণ্য পরিবহন সহজ হবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনমানে বড় পরিবর্তন আনবে। এর মাধ্যমে ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষার হার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহামদ এবং অন্যান্য সরকারি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সেতুটির উদ্বোধনকে ঘিরে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।