বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা কমছে, মোদির চীন সফর

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম

চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা কমছে, মোদির চীন সফর

ছবি- সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ মেটাতে চীন ও ভারত বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি মাসের শেষের দিকে চীন সফরে যাবেন। এই সফরে তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) বৈঠকে যোগ দেবেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। গত সাত বছরে এটি হবে মোদির প্রথম চীন সফর।

 দিল্লিতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের ২৪তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে সীমান্ত বিরোধ মেটাতে একটি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী এবং আরেকটি কার্যকরী গোষ্ঠী গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোভাল মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমানে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। ওয়াং ই বলেন, এখন সীমান্তে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে এবং ভারত ও চীনের মধ্যে সুসম্পর্ক দুই দেশেরই স্বার্থ পূরণ করবে।

মোদির এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন লাদাখের গালওয়ানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের পরও সীমান্ত বিরোধ পুরোপুরি মেটেনি। ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সেনারা নিহত হয়েছিলেন। এরপরও ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ চলাকালীন চীনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান জে-টেন সি ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। তবে এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে চায়।

 দুই দেশ নির্দিষ্ট কিছু জায়গা দিয়ে পুনরায় বাণিজ্য শুরু করার বিষয়েও কাজ করছে। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস, হিমাচল প্রদেশের শিপকি লা পাস এবং সিকিমের নাথু লা পাস উল্লেখযোগ্য। গালওয়ান সংঘর্ষ এবং কোভিড মহামারীর কারণে এই সীমান্তগুলো দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। উভয় দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।