বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলের বিবেচনা, কী হবে?

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২০, ২০২৫, ১০:১০ এএম

হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলের বিবেচনা, কী হবে?

ছবি- সংগৃহীত

হামাসের দেওয়া ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময়ের প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে ইসরাইল। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় থাকা সকল জিম্মির (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত) মুক্তি নিশ্চিত না হলে যুদ্ধ শেষ হবে না। ইসরাইলের দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রস্তাবের মূল বিষয়গুলো হলো, ১০ জন জীবিত ও ১৮ জন মৃত জিম্মির বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে (যাদের মধ্যে নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কও থাকবে) মুক্তি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তার জন্য গাজা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহার এবং আরও বেশি ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।

হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি, যা ভবিষ্যতে যুদ্ধ শেষ করার আলোচনার পথ খুলে দেবে। তিনি আরও জানান, এই প্রস্তাবে হামাস কোনো অতিরিক্ত শর্ত ছাড়াই সম্মত হয়েছে।

এদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ মঙ্গলবার রাতে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে গাজা সিটি দখলের জন্য চার ধাপের একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ গাজায় মানবিক অবকাঠামো তৈরি, জনগণকে সরিয়ে নেওয়া, শহর ঘিরে ফেলা এবং স্থল অভিযান শুরু করা। এই ঘোষণার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নতুন আক্রমণের আশঙ্কায় পশ্চিম ও দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছে।

রাজনৈতিকভাবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার কট্টরপন্থী জোটসঙ্গীদের চাপের মুখে রয়েছেন। জোটের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী, বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন-গভির, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং গাজা দখলের পক্ষে। অন্যদিকে, জিম্মিদের পরিবার ও হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক রাস্তায় নেমে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন।

সব মিলিয়ে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মূল মতপার্থক্য এখনো রয়ে গেছে। ইসরাইল চায় হামাস অস্ত্র সমর্পণ করুক এবং নেতৃত্ব গাজা ত্যাগ করুক, যা হামাস এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।