আগস্ট ২০, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
হিলি, দিনাজপুর: ২০ আগস্ট, ২০২৪ - দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রেকর্ড পরিমাণ চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, যা দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য দুটির মূল্য স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমদানিকারকরা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে সারাদেশেই চাল ও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন নিশ্চিত করেছেন, গত দুই দিনে ভারতীয় ৯৪টি ট্রাকে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪০টি ট্রাকে ১ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তিনি জানান, চাল আমদানিতে শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে, যা আমদানিকারকদের উৎসাহিত করছে।
বাংলাহিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, দেশের বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিকারকরা প্রচুর পরিমাণে পণ্য আমদানি করছেন। পেঁয়াজের দাম ইতোমধ্যেই কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আমদানি করা চাল বাজারে সরবরাহ শুরু হলে সেটির দামও কমে আসবে।
বাজারের বর্তমান চিত্র: বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩ টাকা কমে ৬২ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ২ টাকা কমে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে চাল আমদানি হলেও শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতায় তা বাজারে সরবরাহ করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে এবং তা দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হবে। বর্তমানে আঠাশ জাতের চাল ৫৫ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল ৫২ টাকা এবং জিরা জাতের চাল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকারকরা মনে করছেন, এসব চাল সারাদেশে সরবরাহ শুরু হলে দাম আরও কমে যাবে।