আগস্ট ২০, ২০২৫, ১১:৫৭ এএম
নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেসের বড় ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবির বিরুদ্ধে চার নারীকে ধর্ষণসহ মোট ৩২টি গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর নরওয়ের পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে এবং রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি আদালতে অভিযোগগুলো নথিভুক্ত করেছেন।
সোমবার (২০ আগস্ট, ২০২৫) নরওয়ের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি স্টুরলা হেনরিক্সবো জানান, আগামী বছরের শুরুর দিকে হোইবির মামলার শুনানি শুরু হবে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে ২৮ বছর বয়সী হোইবির সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। হোইবি হলেন নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-ম্যারিটের ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরসূরি ক্রাউন প্রিন্স হাকনের সৎ ছেলে।
পুলিশের তদন্তে হোইবির বিরুদ্ধে চার নারীকে ধর্ষণ, পাশাপাশি যৌন নির্যাতন এবং নানা ধরনের সহিংসতার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত হোইবি কিছু ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনা ৩২টি ফৌজদারি অভিযোগের মধ্যে এই ভিডিও ধারণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।
গত বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে হোইবিকে তিনবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর ১০ মাস ধরে তদন্ত চলে এবং পুলিশ জুন মাসে প্রসিকিউটরদের কাছে মামলা হস্তান্তর করে। প্রসিকিউটররা পুলিশের তদন্তের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করার পর সোমবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
হোইবির আইনজীবী পেটার সেকুলিক জানিয়েছেন, তার মক্কেল অভিযোগগুলো খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অন্যায় স্বীকার করেননি। বিশেষ করে যৌন নির্যাতন এবং সহিংসতার অভিযোগের বিষয়ে তিনি নীরব রয়েছেন।
কৌঁসুলি স্টুরলা হেনরিক্সবো স্পষ্ট জানিয়েছেন, হোইবি রাজপরিবারের সদস্য হলেও তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। অন্য সাধারণ মানুষের মতোই তার বিচার হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। উল্লেখ্য, মারিয়াস বোর্গ হোইবি কোনো রাজকীয় পদবি বা সরকারি দায়িত্বে নেই।