বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

পারমাণবিক অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করছে চীন, শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ২০, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

পারমাণবিক অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করছে চীন, শঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্র

ছবি- সংগৃহীত

ওয়াশিংটন, ডিসি: প্রচলিত সামরিক অস্ত্রাগারের পাশাপাশি চীন তার পারমাণবিক বাহিনীর আকার ও সক্ষমতা দ্রুত এবং টেকসইভাবে বৃদ্ধি করছে। মার্কিন সামরিক ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বুধবার (২০ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মার্চ মাসে মার্কিন কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল অ্যান্থনি কটন কংগ্রেসকে জানান যে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের জন্য চীনা সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে। এজন্য তারা স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র থেকে হামলা চালাতে সক্ষম এমন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য এই অভিযোগের বিরোধিতা করে বলেছে, তারা তথাকথিত ‘চীনা পারমাণবিক হুমকি’ প্রচারের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে। তারা জানায়, একটি পারমাণবিক যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না এবং তা চালানোও উচিত নয়। চীন 'আত্মরক্ষার পারমাণবিক কৌশল' এবং 'প্রথমে ব্যবহার নয়' নীতি অনুসরণ করে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, চীনের এই অবস্থানের বিপরীতে তাদের কৌশলে সম্ভবত প্রচলিত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পেন্টাগন আরও অনুমান করে যে, তাইওয়ানে প্রচলিত সামরিক পরাজয় যদি কমিউনিস্ট শাসনের টিকে থাকার জন্য 'মারাত্মক হুমকি' হয়ে দাঁড়ায়, তবে বেইজিং প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বিবেচনা করবে।

শিকাগো ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা 'বুলেটিন অফ দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস' এর মতে, চীন অন্য যেকোনো পারমাণবিক শক্তির চেয়ে দ্রুত তার অস্ত্রের মজুদ সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ করছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০টি ওয়ারহেড সংগ্রহ করেছে। সংস্থাটি আরও জানায়, চীন প্রায় ৩৫০টি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো এবং রোড মোবাইল লঞ্চারের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন ঘাঁটি তৈরি করছে। পেন্টাগনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের কাছে ১,০০০ এরও বেশি কার্যকরী পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকবে।