আগস্ট ২০, ২০২৫, ০১:২১ পিএম
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০৬ জনে পৌঁছেছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বুধবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এনডিএমএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৯৬৫ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার-পাখতুনখাওয়া (কেপি) প্রদেশ, যেখানে এখন পর্যন্ত ৪২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপর পাঞ্জাবে ১৬৪ জন, সিন্ধে ২৯ জন, বেলুচিস্তানে ২২ জন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ৫৬ জন এবং ইসলামাবাদে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সোয়াবি, নওশেরা, মারদান ও পেশোয়ার জেলায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুনের জেলা, যেখানে ২২২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে বুনের জেলার বেসোনাই গ্রাম আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া বাজউর, সোয়াত, বাত্তাগ্রাম, মানসেহরা, শাংলা, দির আপার, দির লোয়ার ও তোরঘরের মতো জেলাগুলোতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করেছে। ইতোমধ্যে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কেপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় ৭৮০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৪৯টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানিয়েছে, আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।