আগস্ট ১২, ২০২৫, ১০:৩১ এএম
আবারও বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এই নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় ভারতের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না। এই পণ্যগুলো শুধু দেশটির মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে আমদানির সুযোগ রয়েছে। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট, ২০২৫) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যেখানে এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে চারটি পণ্যের ওপর ভারত আমদানি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে, সেগুলো হলো:
-
পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়
-
পাটের দড়ি বা রশি
-
পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি
-
পাটের বস্তা বা ব্যাগ
বাংলাদেশ থেকে উল্লিখিত এসব পণ্য যে পরিমাণ ভারতে রপ্তানি হয়, তার ১ শতাংশের কাছাকাছি যায় সমুদ্রপথে। ফলে এই বিধি-নিষেধের কারণে মূলত এসব পণ্য রপ্তানির সহজ পথটি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
এর আগে গত ২৭ জুন আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ডিজিএফটি বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কয়েক ধরনের পণ্য আমদানিতে বিধি-নিষেধ দিয়েছিল। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বিধি-নিষেধ দেওয়া ওই সব পণ্যের মধ্যে ছিল কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। এর সঙ্গে নতুন করে আরও চার ধরনের পণ্য যোগ হলো গতকাল থেকে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় অশুল্ক বিধি-নিষেধ আরোপ করল ভারত। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধি-নিষেধ দিয়েছিল। তার আগে ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করেছিল দেশটি।