সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে। ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক 'মাল্টিপল প্রাইস অকশন' (এমপিএ) পদ্ধতিতে এই ডলার ক্রয় সম্পন্ন করে। প্রতি ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা। একই দামে অকশনের কাট-অফ রেটও নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬) এর শুরু থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ১.১৩ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ক্রয় করেছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমানোর চেষ্টা করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ডলারের দাম কমে গেলে তা দেশের রপ্তানিখাত ও প্রবাসী আয় প্রেরণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই এই পদক্ষেপ মূলত ডলারের বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে যাওয়া থেকে সুরক্ষা দেবে।
গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনা-বেচার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে আমদানি ব্যয় মেটাতে রিজার্ভ থেকে বড় অঙ্কের ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। তবে এখন প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বাড়ায় সেই চাপ কিছুটা কমেছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন বাজার থেকে ডলার কিনছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পদক্ষেপ রিজার্ভকে কিছুটা শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপিএ পদ্ধতিতে ডলার ক্রয়-বিক্রয় বাজারের স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ নিশ্চিত করে। তবে তাদের মতে, দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা আনতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত।
সাম্প্রতিক বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি ও রিজার্ভের চাপের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিটি পদক্ষেপই দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের হস্তক্ষেপ বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।
দিনাজপুর টিভির সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
-20250806074544.jpg)
-20250826171316.jpg)
