শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

জাতিকে অস্থিরতার মধ্যে রেখে পালালেন থাইল্যান্ডের থাকসিন সিনাওয়াত্রা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম

জাতিকে অস্থিরতার মধ্যে রেখে পালালেন থাইল্যান্ডের থাকসিন সিনাওয়াত্রা

ছবি - সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জাতিকে রেখে গোপনে দেশত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫ তারিখে থাই পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিনি ব্যাংককের ডন মুয়েয়াং বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশ ছেড়েছেন। তার এই পলায়নের খবরটি ঠিক সেই সময় এলো যখন তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা ১৭ মিনিটে থাকসিন একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশ ছাড়েন। তার গন্তব্য এখনও অজানা, এবং বিমানে ওঠার সময় তার কাছে আদালতের কোনো লিখিত অনুমতি ছিল না। থাকসিনের এই পদক্ষেপ থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

ঘটনাচক্রে, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে একজন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনার পূর্ব মুহূর্তে থাকসিনের পলায়ন আরও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও তার পরিবারের প্রভাব ব্যাপক। ২০০৬ সালে একটি সেনা অভ্যুত্থানে তার সরকারের পতন হয়েছিল এবং সেই সময় তিনি লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার মেয়ে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থাকসিন দেশে ফিরে আসেন, এবং তার মামলার বিচারকার্যক্রম স্থগিত করা হয়। কিন্তু আগস্ট ২০২৫-এ পায়েতংতার্ন প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালে থাকসিনের মামলার বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

থাকসিনের আইনজীবী উইনইয়াত চাতমন্ত্রি রয়টার্সকে জানান, তিনি তার মক্কেলের দেশত্যাগের বিষয়ে কোনো খবর জানেন না। থাকসিনের রাজনৈতিক দল 'পিউ থাই পার্টি'র মুখপাত্ররাও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই ঘটনা থাইল্যান্ডের জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এক পক্ষ মনে করছে, বিচার এড়াতে থাকসিনের এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও হুমকির মুখে ফেলবে। অন্যদিকে, তার সমর্থকরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এবং তারা এই পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মনে করছেন।