শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

ইউরোপে বড় যুদ্ধের শঙ্কা, সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্স

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

ইউরোপে বড় যুদ্ধের শঙ্কা, সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্স

ছবি - সংগৃহীত

ইউরোপে আগামী বছরের মধ্যে একটি বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘাতের আশঙ্কায় ফ্রান্সের সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি চিঠিতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালগুলোকে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম 'ল্য কানার্দ অঁশেনে' প্রকাশিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ফ্রান্সে 'বড় ধরনের সামরিক সম্পৃক্ততার' সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১০ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার আহত সৈন্যকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাথরিন ভাত্রিন স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএমটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'এটি প্রস্তুতিরই অংশ—যেমন কৌশলগত মজুদ বা মহামারির সময়কার ব্যবস্থা। কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম এবং তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।' তিনি আরও বলেন যে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আসন্ন সংঘাতের ক্ষেত্রে ফ্রান্স সুরক্ষিত একটি ঘাঁটি হিসেবে কাজ করতে পারে। এ কারণে সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের কাছে চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনেরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে বিদেশি সৈন্যদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো যায়।

যুদ্ধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফরাসি সরকার প্রতিটি পরিবারকে ২০ পৃষ্ঠার একটি 'সারভাইভাল ম্যানুয়াল' পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই ম্যানুয়ালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্য সংকট বা সশস্ত্র সংঘাতের মতো আসন্ন হুমকির জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই ম্যানুয়াল অনুযায়ী, প্রতিটি পরিবারকে কমপক্ষে ছয় লিটার বোতলজাত পানি, ১০ ক্যান খাবার এবং টর্চলাইট, ব্যাটারি, স্যালাইন ও প্যারাসিটামলসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটলে দরজা-জানালা বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে। গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালে যে প্রতিরক্ষা বাজেট ৩২ বিলিয়ন ইউরো ছিল, তা ২০২৭ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করে ৬৪ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।