সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
নেপাল সরকার অপব্যবহার এবং গুজব ছড়ানো ঠেকাতে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া নিবন্ধন সময়সীমা অতিক্রম করার পর বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভুয়া আইডি ব্যবহার করে ঘৃণা ও গুজব ছড়ানো, সাইবার অপরাধ এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যোগাযোগের স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট শর্ত মেনে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করার জন্য বুধবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। শর্তগুলোর মধ্যে স্থানীয় প্রতিনিধি, অভিযোগ নিষ্পত্তিকারী এবং কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জমা দেওয়া অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই শর্ত মানতে ব্যর্থ হওয়ায়, নেপাল টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) অনিবন্ধিত প্ল্যাটফর্মগুলোর অ্যাক্সেস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে কোন কোন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা না হলেও, দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান যে টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ এবং পপো লাইভ ইতোমধ্যেই নিবন্ধন করেছে। তবে ফেসবুকসহ কিছু বড় প্ল্যাটফর্ম এই নির্দেশ উপেক্ষা করেছে।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, "আমরা তাদের নিবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি এবং বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করেছে। যে কারণে তাদের সেবা নেপালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।"
এই পদক্ষেপ নেপালের সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে দেশের সামাজিক ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। আবার অনেকেই এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে সমালোচনা করছেন।