সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অতিদ্রুত ইকোনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরিত হবে। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও সম্প্রসারিত করবে এবং অর্থনীতিতে নতুন গতি আনবে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে শিল্প কাঠামোর বহুমুখীকরণ এবং সরকারি সেবা প্রদানে দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধাগুলো জাপানি উদ্যোক্তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ রয়েছে, যাদের জাপানে কর্মসংস্থানের ভালো সুযোগ রয়েছে।
বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে জাপানের সহযোগিতা অনস্বীকার্য। তিনি জানান, ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জাপানকে বাংলাদেশের ১২তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।ডিসিসিআই সভাপতি জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে অটোমোবাইল, মেশিনারি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট, পাদুকা, এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার মতো খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
তিনি বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে জাপানের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা কামনা করেন।বৈঠকে ডিসিসিআই-এর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং জাপানি দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।