আগস্ট ৩০, ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে 'সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫' নামে নতুন এই নিয়ম ঘোষণা করা হয়। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন বিধিমালার অধীনে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩ শতাংশ পদ মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে।
বাকি ৭ শতাংশ পদ কোটা হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। এই কোটাগুলো হলো:
-
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য: ৫ শতাংশ।
-
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য: ১ শতাংশ।
-
শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য: ১ শতাংশ।
তবে, কোটার আওতায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই শূন্য পদগুলোও মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে।
নতুন বিধিমালায় শুধু কোটা ব্যবস্থাই নয়, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
শিক্ষাজীবনের যোগ্যতা: শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে তৃতীয় শ্রেণি বা তৃতীয় বিভাগ থাকলে প্রার্থীরা প্রাথমিকের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না।
-
পদ বণ্টন: বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ শতাংশ এবং অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ৮০ শতাংশ পদ সংরক্ষিত থাকবে।
-
নতুন পদ সৃষ্টি: নতুন করে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে আলাদা পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
-
নিয়োগ পদ্ধতি: নিয়োগ উপজেলা ও ক্ষেত্রবিশেষে থানাভিত্তিক হবে। পাশাপাশি সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ থাকছে।
উল্লেখ্য, এর আগের বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা ছিল। নতুন বিধিমালা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বের ২০১৯ সালের বিধিমালা রহিত বলে বিবেচিত হবে।