বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের উত্তেজনা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের উত্তেজনা

ছবি - সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। এবারের নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের জন্য ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের ৩১৫টি পদে মোট ৪৬৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১০২ এবং ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৮১৭ জন। জাকসুর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী, ভিপি পদে ১০ জন এবং জিএস পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। তবে একজন স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণে এই পদে লড়ছেন ৮ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন এবং বামপন্থী সংগঠন ও সাংস্কৃতিক জোট সমর্থিত সম্প্রীতির ঐক্য। এছাড়া ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ এবং ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ নামে দুটি আংশিক প্যানেলও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

নির্বাচনে কিছু প্যানেলের শীর্ষ প্রার্থীরা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের মো. শেখ সাদী হাসান, শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, শিক্ষার্থী সমন্বিত জোটের আরিফুল্লাহ আবিদ এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন জোটের আব্দুর রশিদ জিতুর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে জিএস পদে ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী, শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম, শিক্ষার্থী সমন্বিত জোটের মাজহারুল ইসলাম এবং সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের শরণ এহসান মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।