আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রী ২ নম্বর গেটের কাছে তার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। তিনি সময়মতো এলেও ভবনের দারোয়ান দরজা খুলতে গড়িমসি করেন এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। ছাত্রীটি এর প্রতিবাদ জানালে দারোয়ান তাকে মারধর করেন এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে থাকেন।
এ সময় ২ নম্বর গেটে উপস্থিত অন্য শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে, যা দ্রুত সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার রূপ নেয়।
স্থানীয়দের এই হামলায় ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা আল মাসনূন রয়েছেন, যাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক সাব্বির হোসেন বলেছেন, মাসনূনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনও রয়েছেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক মোহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, ইমতিয়াজের চোখের নিচে ঘুষির আঘাতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. কোরবান আলী এবং সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসাইন পুলিশ নিয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু পুরো এলাকা স্থানীয়দের দখলে থাকায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগে সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ গণমাধ্যমকে জানান, সহকারী প্রক্টর নাজমুল এবং কোরবান স্যার দুজনই আহত হয়েছেন।