জুলাই ২২, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন যে, আগামীকাল বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) রাশিয়া ও ইউক্রেন নতুন দফায় শান্তি আলোচনায় বসছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সোমবার রাতে দেওয়া নিয়মিত ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, "আজ আমি রুস্তেম উমেরভের (ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান) সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের প্রস্তুতি ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তুরস্কে আরেকটি বৈঠক করার ব্যাপারে আলোচনা করেছি। উমেরভ জানিয়েছেন, বৈঠকটি বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।"
সম্প্রতি জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ দিনের ভেতর যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকির কয়েক দিন পরই এই প্রস্তাব আসে। এর পাশাপাশি, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা জোরদার করার পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য নতুন অস্ত্রসহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মস্কো এখনো শান্তি আলোচনা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার—দুই দিন আলোচনা হবে। অন্যদিকে, তুরস্ক সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, বুধবার ইস্তাম্বুলেই আলোচনা শুরু হবে। গত মে ও জুন মাসের বৈঠকগুলোও একই জায়গায় হয়েছিল, তবে ওই সব আলোচনায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি।
এ সপ্তাহের আলোচনাটিও চলমান যুদ্ধ শেষ করার আরেকটি প্রচেষ্টা। তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আলোচনার আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বিবিসিকে বলেন, পুতিনের আচরণে তিনি হতাশ, তবে আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি।
এএফপিকে ইউক্রেনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ইস্তাম্বুলের আলোচনায় নতুন করে বন্দিবিনিময় এবং জেলেনস্কি ও পুতিনের সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। তবে মস্কো শিগগিরই কোনো বড় ধরনের অগ্রগতি বা চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, "দুই পক্ষ সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে আছে" এবং "এখনো অনেক কূটনৈতিক কাজ বাকি"।
এদিকে, সম্প্রতি ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে, যার ফলে বেসামরিক লোকজনের হতাহতের সংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। এই হামলা আলোচনার পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আপনার মতামত লিখুন: