শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলবে জর্ডান-আমিরাত

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম

গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলবে জর্ডান-আমিরাত

ছবি- সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে সেখানকার বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্থলপথে ত্রাণ পৌঁছানো প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ায় এবং ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ থাকায়, আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার উদ্যোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি দেশ আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলেছিল, তবে তাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আবারও এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলতে যাচ্ছে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই মানবিক সংকটে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েল এই দুটি দেশকে বিমানের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলার অনুমতি দেবে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে।


ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েল শিগগিরই জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিমানের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর অনুমতি দেবে।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজই (শুক্রবার) জর্ডান বিমানের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে পারে। এই পদক্ষেপটি গাজার জনগণের জন্য জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহ করার একটি প্রচেষ্টা।

 

গত বছরও এ ধরনের একটি ত্রাণ বিতরণ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী জর্ডান, মিসর এবং ফ্রান্সের সঙ্গে সমন্বয় করে গাজায় কয়েক হাজার ত্রাণের প্যাকেট ফেলেছিল। তবে ওই বছরের মার্চে আকাশ থেকে ফেলা এসব ত্রাণ মাথায় পড়ে গাজার পাঁচ বাসিন্দার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।

 

ছোট ছোট প্যারাস্যুটের মাধ্যমে সাধারণ বিমান থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়। যা সাধারণত সমুদ্র অথবা জনবসতিহীন খোলা স্থান লক্ষ্য করে ফেলা হয়। তা সত্ত্বেও বাতাসের ধাক্কায় এগুলোর কিছু জনবহুল এলাকায় চলে আসে, যা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

গাজার জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও, এর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ, এর আগে ত্রাণের প্যাকেজ মাথায় পড়ে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় এই পদক্ষেপকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।