জুলাই ২৬, ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর আন্দিজ পর্বতাঞ্চলের আঁকাবাঁকা ও সংকীর্ণ রাস্তাগুলোতে প্রায়শই ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অতিরিক্ত গতি এবং সড়কের বেহাল দশার কারণে এসব দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে গেলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যা পেরুর সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে গেলে অন্তত ১৫ জন নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) টারমা শহরের কাছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বাসটিতে ৬০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অল্ডো টিনেও বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, "এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"
রাজধানী লিমা থেকে লা মার্সেডগামী বাসটি সরু এবং আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় চলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গভীর খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গন্তব্যে পৌঁছার মাত্র কয়েক কিলোমিটার আগে। দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। জরুরি সেবা দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পেরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ১৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই পরিসংখ্যান থেকে দেশটির সড়ক নিরাপত্তার নাজুক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
পেরুর সড়ক দুর্ঘটনার জন্য মূলত অতিরিক্ত গতি, অনুন্নত সড়ক এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকে দায়ী করা হয়। এবারের দুর্ঘটনাটিও সেই ধারাবাহিকতারই একটি অংশ, যা আবারও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবকে তুলে ধরেছে।
আপনার মতামত লিখুন: